March 28, 2024, 5:22 pm

মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও মাহে রমজান

মাওলানা এম. এ. করিম ইবনে মছব্বির

মহাগ্রন্থ আল কোরআন এবং মাহে রমজানের সম্পর্ক খুবই সুনিবিড়। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ঘােষণা করেন, রমজান হল সেই মাস যে মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সুস্পষ্ট পথ নির্দেশকারী। আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সুরায়ে বাক্বারা -১৮৫)।

মসনদে ইমাম আহমদে হযরত ওয়াছিলা ইবনে আছকা (রা:) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, নবী করিম (সা:) বলেছেন , হযরত ইব্রাহীম (আ:) -এর উপর সহীফা অবতীর্ণ হয়েছিল প্রথম রমজান। হযরত জাবের (রা:) -এর রেওয়াতে বলা হয়েছে জবুর রমজানের বারাে তারিখ অবতীর্ণ হয়। আর রমজানের ছয় তারিখ তাওরাত, দশ তারিখ ইঞ্জিল এবং চব্বিশ তারিখে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। প্রতি রমজান মাসে হযরত জিব্রাঈল (আ:) আসতেন নবী করীম (সা:) এর খেদমতে।

তিনি হযরত জিব্রাঈল (আঃ) কে কোরআন শরীফ পাঠ করে শুনাতেন। সাহাবায়ে কেরামগণ রমজান মাসে কোরআনের খেদমতে বেশি সময় ব্যয় করতেন।
কোরআন তেলাওয়াত করতেন, মুখস্থ করতেন, বুঝার চেষ্টা করতেন, অধ্যায় ও অধ্যাপনায় ব্যস্ত থাকতেন।

আমাদেরও উচিত পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, কোরআন ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়াত তালাশ করলে আল্লাহপাক তাকে পথভ্রষ্ট করে দিবেন।

পবিত্র রমজানে সামান্যতম সৎ কর্মের বিনিময়ে অন্য মাসের ফরজ তুল্য সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এমনি ভাবে কোরআন শরীফের প্রতিটি হরফের দশটি করে নেকি প্রদান করা হয়।
নবী করীম (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল কোরআনের একটি হরফ তেলাওয়াত করেছে, সে একটি নেকি পেয়েছে। প্রতিটি নেকি দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘােষণা করেন যে, আমি মহাগ্রন্থ আল কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য। সূরায়ে আল ফোরকান ৫৪-১৭।
অতএব আসুন কোরআন নাজিলের এ মাসে আমরা বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করি।

সূত্রঃ মানবজমিন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2017 SuperSoftit.Com
Design & Developed BY SuperSoftit.Com